চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
মানুষের সৌন্দর্য হলো চুলে আর সেই চুল যদি ঝরে যাই। তাই আমাদের আজকের পোষ্ট টি হলো চুল পড়া বন্ধ কারার ঘরোয়া উপায়। চুল পড়া বন্ধ করার জন্য আমারা নান ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি। তবুও চুল পড়া কমাতে পারি না। আজ আপনাদের বলবো কি চুল পড়া বন্ধ করার উপায় আপনি চাইলে প্রকৃতিক ভাবে চুল পড়া বন্ধ করতে পারেন। চুল যদি এক বার পড়া শুরু করে তা কেনো ভাবেই বন্ধ হতে চাই না, তবে চুল পড়া শারিরীক কেনো সমস্যা লক্ষণ ও হতে পারে। আর এর হাত থেকে রক্ষা পেতে বাজার থেকে বিভিন্ন ধরণের প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি।তাই চুল পড়া বন্ধ করার উপায় আপনাদের কে জানবোঃ
মেথির ব্যবহার
চুল পড়া বন্ধ করতে মেথি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি চুল পড়া বন্ধ করার জন্য এটি ব্যবহার করেন এছাড়া চুল নতুন করে গজাতে এবং চুল লম্বা করতে হলে কি ব্যবহার করতে পারেন। চুলের আগা ফেটে গেলে চুল ছিঁড়ে গেলে এসব কাজের জন্য ব্যবহার করা যায়। চুলের কার্যকরী পালন করতে মেথির গুরুত্ব অপরিসীম। মেথিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল করতে সহায়তা করে। এছাড়া রয়েছে ভিটামিন সি আয়রন ও পটাসিয়াম এ সকল উপাদান চুল অকালপক্ক থেকে রক্ষা করে এবং চুলকে মসৃণ ও ঘন করে।
রাতে 2 টেবিল চামচ মেথি দিয়ে রাখুন, এরপর সকালবেলা মেথি নিয়ে বেটে। লেবুর রস মিশাবেন তারপর মাথায় দিয়ে রাখুন আধা ঘন্টার মত। পরিশেষে মাথায় শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন এর ফলে চুলের গোড়া শক্ত হবে এবং চুল পড়া বন্ধ হবে। তবে এটি সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করবেন।
নারকেলের দুধ এর ব্যবহার
হাতির চুল পড়া রোধের জন্য নারকেলের দুধের ব্যবহার করতে পারেন। চুলে তেল নারকেল তেল ব্যবহার করেন কিন্তু নারকেলের দুধে ও ব্যবহার করতে পারেন এটি চুল পড়া রোধ করে এবং চুলকে মসৃণ এবং দূরত্ব লম্বা করতে সহায়তা করে।
তবে নারকেল দুধের কোন রাসায়নিক দ্রব্য নাই যা আপনি নিশ্চিন্তে চুলে ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনার চুলের উপকার ছাড়া ক্ষতি হবে না। এটা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ভাবে তৈরী। যা আপনার চুলকে শক্ত এবং মজবুত করবে। চুল পড়া বন্ধ করবে।
চুলের যত্নের জন্য আপনার লাগবে একটি নারকেল ও একটি শাওয়ার ক্যাপ।
প্রথমে আপনি একটা নারকেল নিবেন এবং নারকেল টি কুড়িয়ে নিবেন। এরপর সাকুনি দিয়ে চেপে নারকেলের দুধ বের করবেন। তারপর একটি পাত্রে নিয়ে নারকেলের দুধ হালকা গরম করবেন কুসুম কুসুম করার পর আপনি ওটা মাথাতে লাগাবেন। তারপর স্যার কাপটা মাথায় দিয়ে আধা ঘন্টা অপেক্ষা করবেন। তারপর শ্যাম্পু করে মাথা টিপে ধরে ফেলবেন। এভাবে সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করবেন আশা করি ভালো ফল পাবেন। এর ফলে আপনার চুল সুন্দর এবং মজবুত হবে এছাড়া চুল পড়া বন্ধ হবে।
নিম পাতার ব্যবহার
ত্বক এবং চুলের নিমপাতার ব্যবহার অপরিহার্য। আমরা ত্বকের ক্ষেত্রে যেমন নিমপাতার ব্যবহার করে থাকি। তেমনি ভাবে চুল পড়া বন্ধের জন্য নিম পাতা ব্যবহার করে। নিম পাতা থাকে উচ্চমাত্রায় ফ্যাটি এসিড যা আমাদের মাথার চুলের জন্য উপকারী। তাই আমাদের মাথার ত্বক ভালো থাকলে চুল ভালো থাকবে। কথায় আছে জমির মাটি উর্বর থাকলে ফসল ভালো হয় তেমনি আমাদের মাথার ত্বক ভালো থাকে চুল ভালো থাকবে। এছাড়া চুল পড়া সমস্যা নিয়ে ভুগছেন তাদের জন্য উপকারী হলো নিম পাতার রস। নিম পাতার রসে কোন কেমিক্যাল নাই। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক। নিয়মিত নিমপাতা ব্যাবহার করলে স্ক্যাল্প থেকে অতিরিক্ত তেল উৎপাদন করা বন্ধ করে। ফলে চুলের গোড়া শক্ত হয়। এবং চুল পড়া বন্ধ করে। তাই নারিকেল তেলের সাথে নিম পাতার রস, ব্যবহার করলে, চুলের গোড়া মজবুত হয় চুলপড়া বন্ধ করে এবং চুলের আগা ফাটা বন্ধ হয় এছাড়া মাথার ত্বক ভালো থাকে।
10 থেকে 12 টি নিম পাতা নিয়ে, পরিষ্কার জলে ধুবেন এবং তাব বেটে রস বের করবেন। তারপর নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে রসটি সুন্দরভাবে মাথায় দিবেন। এটি মাথার চুলে এবং মাথার ত্বকে দিবেন। পরিশেষে আধাঘন্টা অপেক্ষা করবেন তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলবেন। এটি মাথার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হিসাবে কাজ করবে। চুলকে উজ্জ্বল ও মসৃণ করবে। চুল পড়া বন্ধ হবে। মাথার ত্বক সুন্দর হবে এবং খুশি থাকলে তাও দূর হবে। এবং আপনি পাবেন সেই আপনার কাঙ্খিত চুল।
আমাদের শেষ কথা
উপরের পোস্টটি পড়ে আপনারা জানতে পেরেছেন। চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়। এছাড়া চুল পড়া বন্ধে করণীয় আরও কিছু জানতে, আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানান। আশাকরি আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব।
ধন্যবাদ সবাইকে।