বর্তমান বাংলাদেশের ২০ কোটি মানুষের বসবাস।আর আমাদের দেশের মানুষ বেশির ভাগ কৃষি কাজে নিয়োজিত, ছোট দেশ হিসাবে বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি।বাংলাদেশে অসংখ্য শিক্ষত বেকার যুবক রয়েছে,কারণ বর্তমান সময়ে চাকরি পাওয়া খুবই কষ্ট সাধ্য।তাই চাকুরির পিছে না ছুটে উদোক্তা হন,নতুন নতুন ব্যবসা শুরু করুন।বর্তমান লাভ জনক ব্যবসার আইডিয়া। নিচে দেওয়া হলোঃ
বর্তমান সব থেকে লাভজনক ব্যবসা
বর্তমান সময়ে ব্যবসাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়
১/ঘরে বসে ব্যবসা,
২/কৃষি ভিত্তিক ও
৩/ দোকানের মাধ্যমে ব্যবসা।
ঘরে বসে ব্যবসা
ঘরে বসে যারা আয় করতে চান, তাদের জন্য এই আইডিয়া, আপনারা বিনা পুজিতে, নিজের মেধা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারেন। শুধু মাএ আপনার ব্যবসাকে সুন্দর ভাবে পরিচালনা করতে হবে, তাহলে আপনি সফল হবেন।এবং মাসে ২০/২৫ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
★ কোচিং সেন্টার
আপনি যদি শিক্ষত হয়ে থাকেন তাহলে এ ব্যবসা টি আপনার জন্য। বহু প্রচালিত কোচিং সেন্টার,ামাদের দেশে লাভ জনক একটি ব্যবসা।
কারণ প্রাইভেট টিউটর অত্যান্ত ব্যায় বহুল। তাই মধ্যে বিত্ত পরিবার তাদের ছেলে মেয়েদের কোচিং সেন্টার পড়াই।কোচিং সেন্টার দেওয়ার আগে অবশ্য কিছু বিষয় মাথায় রাখবেন,যেমনঃ
*ভালো শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
*মান সম্মত ক্লাস রুম ও পরিবেশ করতে হবে ও
*মানসম্মত পরিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
★ই-কমার্স ব্যবসা
বিশ্বের এখন প্রায় সকল দেশে ই-কমার্স ব্যবসা জনপ্রিয়।এখন আমাদের দেশেও তরুণ প্রজন্মের অনেকেই এ ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। বর্তমান বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবয়িক প্লাটফর্ম। এ ব্যবসা করতে চাইলে প্রথমে আপনি একটি ই-কমার্স ওয়েব সাইট তৈরি করবেন।তারপর আপনি যে পন্যটি বিক্রি করবেন সেটার প্রচার করবেন।গ্রামে ই-কমার্স ব্যবসা করতে পারেন। এছাড়া শহরে ই-কমার্স ব্যবসা খুবই জনপ্রিয়। যারা স্টুডেন্ট তারাও ই-কমার্স ব্যবসা করতে পারেন। সটিক ভাবে করতে পারলে আপনি ভালো লাভবান হবেন।
★এফিলিয়েট মার্কেটিং
আপনি চাইলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতি মাসে ২০/৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমানে অত্যান্ত লাভ জনক ব্যবসা।বাংলাদেশে এটা এখন লাভ জনক ব্যবসার মধ্যে একটি ব্যবসা।এফিলিয়েট মার্কেটিং হল এক ধরণের ব্লগ, যা বিভিন্ন পন্যর প্রচার করা কমিশনের মাধ্যমে।
★ কম্পিউটার টেনিং সেন্টার
বর্তমান সময়ে শিক্ষার পাশাপাশি কম্পিউটার জানা অপরিহার্য। এখন প্রতিটা ক্ষেএে কম্পিউটার জানা দরকার, এখন সব কাজ কিন্তু অনলাইনে হয়ে থাকে। তাই কম্পিউটার টেনিং সেন্টার এর থেকে ভালো আয় করতে পারবেন। বর্তমান সমাজের শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্পিউটার শিক্ষার আগ্রহ ব্যাপক রয়েছে।
আপনি কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে অনুমোদন নিয়ে এ ব্যবসা করতে পারেন।
আপনার ট্রেনিং এর বিষয় রাখবেন।
- ♦এমএস ওয়ার্ড
- ♦এমএস এক্সেল
- ♦গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ♦ওয়েব ডিজাইন
- ♦ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং
- ♦ভিডিও এডিটিং ও
- ♦ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি।
★ব্লগ
আপনি যদি লিখতে পছন্দ করেন তাহলে ব্লগ এ কাজটি আপনার জন্য। ব্লগ করে আপনি খুব সহজে আয় করতে পারবেন। এর জন্য আপনার প্রয়েজন হবে ওয়েবসাইট, ডোমেন নিয়ে আপনি আপনার পছন্দের জিনিস নিয়ে লেখালিখি করে আয় করতে পারেন, এটার আয় মুলূত ট্রাফিক এর উপর আপনার সাইটে যত বেশি ভিজিটর আসবে তত বেশি আপনার আয় হবে এখান থেকে, ব্লগ আপনি যে কেনো স্থান থেকে করতে পারেন।
বিস্তারিত জানুন ঃ
★ইউটিউব চ্যালেন
একটি খুবই জনপ্রিয় একটি ব্যবসা হল ইউটিউব। আপনি চাইলে ইউটিউব করতে পারেন।এ থেকে আপনি হাজার হাজর ডলার আয় করতে পারেন।
তবে একানে আপনার ১০০০ সাবস্কাইব
এবং আপনার 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম পূর্ণ করতে হবে। এই দুইটা সম্পন্ন হওয়ার পরই আপনি আপনার ইউটিউবে মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। তারপর গুগল এডসেন্স থেকে অ্যাপ্রভাল নেয়ার পর আপনি ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন।
এবার আপনাদেরকে জানাবো
কৃষি ভিত্তিক ব্যবসা।
আপনারা চাইলে কৃষিভিত্তিক ব্যবসা করে আয় করতে পারেন এটা বর্তমান সমাজে খুবই একটা লাভজনক ব্যবসা। বর্তমান বাংলাদেশের মানুষ 85 ভাগ কৃষি কাজে নিয়োজিত। চাইলে যেসব ফসলগুলো বাংলাদেশের উৎপাদন হয় এগুলো স্টক করে ব্যবসাটি করতে পারেন। সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করে এগুলো গোডাউন এ স্টক করতে পারেন।
★পাট
বাংলাদেশের একমাত্র অর্থকারী ফসল হলো পাট,পাটকে সোনালী আঁশ বলে থাকি আমরা। পাটের মৌসুমি আপনারা পাট ক্রয় করে স্টক করতে পারেন এবং পরবর্তী দাম বৃদ্ধি পেলে সেগুলো বাজারজাত করতে পারেন। ব্যাক রয়েছে এক্ষেত্রে আপনি পাটের ব্যবসা করতে পারেন কারণ বর্তমানে পাট দিয়ে বিভিন্ন রকম জিনিসপত্র তৈরি হয়ে থাকে।
পাটের স্টক ব্যবসা করতে হলে আপনাকে পুঁজি নিয়ে করতে হবে, এখানে আপনার প্রায় দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করতে হবে।
পাটের ব্যবসা নিয়ে জানতে, আমাদের আরো একটি পোষ্ট আছে পাটের স্টক ব্যবসা নিয়ে।
★ধানের স্টক ব্যবসা
আপনারা চাইলে ধানের মৈাসুমে ধান ক্রয় করে স্টক করতে পারেন। আপনারা চাইলে আপনাদের সুবিধা মত ফসল কিনে স্টক করতে পারেন।স্টক এর ব্যবসায় আপনি অধিক লাভবান হতে পারেন।
★ মাছ চাষ
বর্তমান সমাজে মাছ ছাড়া কারো চলেই না, বাঙালি মাছ বিনা ভাত খেতেই পারে না, কারণ আমরা তো মাছে ভাতে বাঙালি। মাছ চাষ করে আয় করতে পারেন, বর্তমান অধিক লাভ জনক ব্যবসা হল মাছ চাষ,তাই আপনারা মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারেন।
মাছ চাষ সম্পর্কে কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলে আপনারা যুব উন্নয়ন থেকে ট্রেনিং করতে পারেন। এবং ট্রেনিং শেষ করে আপনি মাছ চাষ করার জন্য যুব উন্নয়ন থেকে দুই লক্ষ টাকা লোন নিয়ে মাছ চাষ শুরু করতে পারেন।
যে সকল মাছ চাষ করবেন ঃ
#সিলভার
# কই
# রুই
# মিরর্গেল
# কালবাউশ
# কাতলা ইত্যাদি মাছ চাষ করতে পারেন।
মাছ চাষ করতে হলে যে সকল দিক গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে।
® ভালো পুকুর নির্বাচন করতে হবে।
®পুকুরের পাড় বাধা রাখতে হবে।
®আলোবাতাস প্রবেশ করে এমন স্থান হতে হবে।
®পুকুরে পানি দেবার ব্যবস্থা থাকতে হবে।
® মাঝে মাঝে জাল টানতে হবে।
®মাছের ওজন অনুযায়ী খাবার সরবরাহ করতে হবে।
দোকানের মাধ্যম ব্যবসা
দোকান দিয়ে ব্যবসা করলে অধিক লাভবান হবেন।
★ওষুধের ব্যবসা
আপনি চাইলে ওষুধের দোকান দিয়ে আয় করতে পারেন,বর্তমানে ব্যাপক চাহিদা ওষুধের। এটা অত্যান্ত জনপ্রিয় ব্যবসা।তাই আপনি চাইলে ওষুধের ব্যবসা করতে পারেন। এ ব্যবসার মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে বিশ থেকে এিশ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।
★মুদি ব্যবসা
ব্যবসার থেকে বিকল্প কেনো কিছু নাই,এ ক্ষেএে আপনি মুদি ব্যবসা করতে পারেন। মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস এর ব্যাপক চাহিদা এ সকল দ্রব্য মূল্যর চাহিদা সারা জীবন রয়ে যাবে, আর মুদি ব্যবসা করে সফলতার হার ব্যাপক, তাই আপনি চাইলে অল্প পুজিতে এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
★মোবাইল ব্যাংকিং ও এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসা
আধুনিক ব্যবসার গুলোর ভিতর হলো মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসা। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে টাকা লেনদেন করতে পারেন। দিনরাত ২৪ ঘন্টা টাকা লেনদেন করতে পারেন। অল্প পুজিতে এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন, বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।
তাই আপনি বাজারে একটি দোকান নিয়ে এ ব্যবসা শুরু করেন
©রকেট
©বিকাশ
© নগত এর এজেন্ট নিতে পারেন।
আর এজেন্ট ব্যাংকিং গুলো হল
®ডাচ্ বাংলা ব্যাংক
®ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড
®অগ্রনী ব্যাংক
এ সকল এজেন্ট ব্যাংকিং গুলো নিতে পারেন।এ থেকে মাসে মোটা অংকের মনুফা আয় করতে পারেন।
আমাদের শেষ কথা ঃ এ পোষ্টটি পড়ে আশা করি আপনাদের কিছুটা হলেও ব্যবসায়িক সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। এছাড়া ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত কেনো কিছু জানতে আমাদের কে কমেন্ট করুন।
ব্যবসায়িক আইডিয়া ২০২২
ব্যবসায়িক আইডিয়া ২০২২
ব্যবসায়িক আইডিয়া ২০২২
ব্যবসায়িক আইডিয়া ২০২২
ব্যবসায়িক আইডিয়া ২০২২
ব্যবসায়িক আইডিয়া ২০২২
ব্যবসায়িক আইডিয়া ২০২২
ব্যবসায়িক আইডিয়া ২০২২
ব্যবসায়িক আইডিয়া ২০২২
ব্যবসায়িক আইডিয়া ২০২২
ব্যবসায়িক আইডিয়া ২০২২
ব্যবসায়িক আইডিয়া ২০২২
ব্যবসায়িক আইডিয়া ২০২২
ব্যবসায়িক আইডিয়া ২০২২
ব্যবসায়িক আইডিয়া ২০২২
ব্যবসায়িক আইডিয়া ২০২২